হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মৃত্যু

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না করে মরদেহ নেবে না সুমনের পরিবার

ছবি: পলাশ খান

চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার সুমন শেখ নামে যুবক আত্মহত্যা করেছেন হাতিরঝিল থানা পুলিশ এমন দাবি করলেও হত্যা মামলা দায়েরের পরেই মরদেহ বুঝে নেবে বলে জানিয়েছে তার স্বজন।

সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে কেউ সুমনের মরদেহ বুঝে নিয়ে যায়নি।

সুমনের শ্যালক সুজন শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা আজ মামলা করতে আদালতে গিয়েছিলাম। তবে, আদালতের সময় শেষ হওয়ায় মামলা করতে পারেননি। আগামীকাল আমার বোন (সুমনের স্ত্রী) জান্নাত বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ন্যায় বিচার চাই। সুমন শেখকে হত্যা করেছে পুলিশ। মামলা না করা পর্যন্ত আমরা মরদেহ নেব না।'

পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে গতকাল সন্ধ্যায় হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করে সুমনের স্বজন।

সুমনের দুলাভাই মোশাররফ শেখ বলেন, 'গতকাল আমরা যখন থানার সামনে তখন এক এসআই আমার কাছে জানতে চান, সুমনের মরদেহ আমরা কোথায় নেব। তাকে বলি, রামপুরার বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে মরদেহ গোসল করিয়ে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। তখন তিনি বলেন, না। মরদেহ এখানে আনতে দেওয়া হবে না।'

থানা হেফাজতে সুমন শেখের মৃত্যুর বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে থানায় এনে আলাদা একটি লকআপে রাখা হয়েছিল। রাত ৩টা ৩২ মিনিটে ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে সুমন নিজের ট্রাউজার খুলে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। থানার সিসিটিভি ফুটেছে এটি দেখা গেছে।'

এ ঘটনায় 'দায়িত্বে অবহেলার কারণে' হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেমায়েত হোসেন ও কনস্টেবল জাকারিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল সুমনের স্ত্রী জান্নাত বেগম ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'আমাদের বাসা পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলিতে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় কয়েকজন বাসায় এসে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যান। তার (সুমন) বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলেন। কিন্তু কী অভিযোগ সেটা তারা জানাননি।'

'আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চাই,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Khamenei advisers killed by Israeli airstrike

Iran vows retaliation after US strikes on nuclear sites

"The Zionist enemy... is being punished right now," Khamenei wrote on social media.

39m ago