‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমানকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার খণ্ডিত বিচার হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেক মাস্টারমাইন্ড, ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীরা এখনো খোলস পরে অবাধে চলাফেরা করছে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার খণ্ডিত বিচার হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেক মাস্টারমাইন্ড, ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীরা এখনো খোলস পরে অবাধে চলাফেরা করছে।'

আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকায় পিরোজপুর জেলা সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। চার্জশিটে উল্লেখ করা উচিত ছিল, তিনি মারা যাওয়ায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ১৭৩(৩) অনুসারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড, ষড়যন্ত্রকারী এবং সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি সম্পূরক চার্জশিট আদালতে দাখিলের সুযোগ রয়েছে।'

শ ম রেজাউল করিম বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস ও একটি প্রতিষ্ঠান।'

'জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।'

'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিপরীতমুখী করে জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার সব খুনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন ও লালনপালন করেছেন', বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী রেজাউল করিম।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর হতো না।'

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আমাদের কাজ ও মেধার মাধ্যমে সেটা রক্ষা করতে হবে।'

পিরোজপুর জেলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।

 

Comments

The Daily Star  | English

Age limit for govt job entry: Panel suggests 35yrs for men, 37 for women

A government committee has recommended raising the maximum age limit for applying for public service jobs to 35 years for male candidates and 37 years for female applicants..The five-member committee, formed to review the feasibility of extending the age limit for applying for government j

3h ago