অপরাধ ও বিচার

সাবেক এসপি বাবুলের সেলে ওসির ‘তল্লাশি’, নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের একটি আদালতে আবেদন করেছেন।
বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের একটি আদালতে আবেদন করেছেন।

গত শনিবার ফেনী কারাগারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সেল তল্লাশি করেছেন বলে অভিযোগ তুলে আজ এই আবেদন করেন তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেসার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আবেদনটি করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে মামলার পরবর্তী তারিখে এর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।'

আবেদনে বাবুলের আইনজীবী মুরাদ অভিযোগ করেন, ফেনী মডেল থানার ওসি ফেনী কারাগারে বাবুলের সেলে ঢুকে তল্লাশির নামে 'জীবনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালিয়েছেন', যা কারাগারের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাবুল আক্তার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিদের প্ররোচনা ও নির্দেশে ওসি নিজাম ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশি চালান। কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ওসির প্রবেশের ফুটেজ রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের আদেশ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে প্রবেশ করতে পারেন না। কিন্তু বাবুলের ক্ষতি ও মনোবল নষ্ট করার জন্য ওসি এই কাজ করেছেন।

এই ঘটনার পর বাদী নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের অনিরাপদ মনে করছেন এবং কারাগারে ঘটনার তদন্ত ও হেফাজতে মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইন-২০১৩ এর ১১ ধারার অধীনে কারাগারে বাদীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আবেদন করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফেনীর কারাগারে যে বাবুল আক্তার আছেন সেটা আমার জানাই ছিল না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি সেদিন (১০ সেপ্টেম্বর) ফেনী কারাগারে গিয়েছিলাম আমার থানায় একটি ডাকাতির মামলার বিষয়ে জেলারের সঙ্গে কথা বলতে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো আসামির সেলে ঢোকার সুযোগ নেই।'

এর আগে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গত ২৯ মে বাবুলকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে বাবুল ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় কারাগারে থাকা বাবুল ৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এবং পিবিআইয়ের ২ এসপিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পিবিআই হেফাজতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে একটি অভিযোগ করেন।

আদালত অভিযোগের বিষয়ে আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

 

Comments