সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের অভিযোগ কি পিবিআইকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে?
রিমান্ডে নিয়ে আসামির কাছ থেকে কোন প্রক্রিয়ায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় বা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়, তা দেশবাসী কম-বেশি জানে।
যে কারণে, অনেক সময়ই ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দিলেও, আইনত বিচারককে এই ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিও বিবেচনায় নিতে হয়।
তবে এবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করতে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার—যিনি তার স্ত্রী নিহত হওয়ার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাকরিচ্যুত হন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীতে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
শুরুতে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় ৩ বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। এরপরই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়।
স্ত্রী হত্যার সঙ্গে স্বয়ং বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গণমাধ্যমের খবর বের হয়, তিনি স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
কিন্তু ঘটনায় আবারও নাটকীয় মোড়ের আভাষ মিলছে, যখন বাবুল আক্তার তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায় করার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআইয়ের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেছেন। তিনি এমন সময়ে এই আবেদনটি করেছেন, যার কিছুদিন পরেই তাকে প্রধান আসামি করে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
তবে রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতনের মামলার আবেদনটি তার কৌশল কি না—সে ব্যাপারে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সন্দিহান। শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, 'বাবুল আক্তার যে অভিযোগ করেছেন সেগুলো বাস্তবসম্মত কি না, তদন্ত পরেই বোঝা যাবে।' বাবুল আক্তারকে 'অত্যন্ত চতুর' উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিনি (বাবুল আক্তার) কখন কী বলেন, সেটা তার ব্যাপার।'
গত ৮ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার ওই মামলার আবেদন করলেও আদালত এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আদেশ দেননি। অর্থাৎ মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, এসপি নাজমুল হাসান, নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ.কে.এম. মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত কবির।
তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় মামলার আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার—যেখানে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১০ থেকে ১৭ মে ২০২১। স্থান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অফিস ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা অফিস। আসামিরা যেহেতু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাই এটির বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে আবেদনে।
অভিযোগে বলা হয়, স্ত্রী মিতু হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করতে বাবুল আক্তারকে ৫৩ ঘণ্টা পিবিআই অফিসে আটকে রেখে সাদা কাগজে ও বিভিন্ন বইয়ের পাতায় বাংলা ও ইংরেজিতে বিভিন্ন কথা লিখতে বাধ্য করা; একটা রুমে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো; সারাক্ষণ হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা; দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা; গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা; বারবার একই প্রশ্ন করা, যেমন 'তোর বাপের নাম কী'; জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন মাথার বাম পাশে এবং সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন ডান পাশ থেকে ধাক্কা দেওয়া; খাবার জন্য অল্প অল্প পানি দেওয়া; গোসল করতে না দেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি ১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিনও সারাক্ষণ চোখ বেঁধে, হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিষ্ঠুর আচরণ ও গালিগালাজের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাবুল আক্তারের এই মামলা গ্রহণ করা হবে কি না এবং এ বিষয়ে তদন্ত হবে কি না—তা সময়ই বলে দেবে। তবে শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও যেহেতু বলেছেন যে, তিনি মনে করেন পিবিআই এ পর্যন্ত যতগুলো ঘটনার তদন্ত করেছে সেখানে নিরপেক্ষ ছিল এবং বাবুল আক্তার সম্পর্কেও তিনি কিছু মন্তব্য করেছেন, ফলে পিবিআইয়ের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি গ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হয়।
তবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর আচরণ এবং আসামির কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ে যেসব নিষ্ঠুর কৌশলের কথা শোনা যায়, সেটি আবারও সামনে এলো। বিশেষ করে একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা যখন তার সাবেক সহকর্মীদের দ্বারাই এ জাতীয় নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হওয়ার অভিযোগ আনেন, সেটি এর আগে রাজনৈতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের অভিযোগকেই জোরালো করে।
অতীতে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের অনেকেই রিমান্ডে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনেকে এ নিয়ে বইপত্রও লিখেছেন। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বইয়ের নাম 'কারাগারে কেমন ছিলাম'। অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের একটা বইয়ের নাম 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগস্টের ঘটনা গ্রেপ্তার রিমান্ড ও কারাগারের দিনগুলি'। অধ্যাপক ড. মো আনোয়ার হোসেনের বইয়ের নাম 'কাঠগড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রিমান্ড ও কারাগারের দিনলিপি' ইত্যাদি।
স্মরণ করা যেতে পারে, এর আগে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তাদের রিমান্ডে নিয়েও নির্যাতনের বিষয়টিও ওসি প্রদীপ এবং পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে উঠে আসে। সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকতের ফোনালাপে শোনা যায়, তাকে উলঙ্গ করে সারারাত দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে; বুকের পশম তুলে ফেলা হয়েছে।
সন্দেহভাজন আসামি বা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল ১৫ দফা নির্দেশনাসহ দেওয়া হাইকোর্টে রায়, যেটি ২০১৬ সালে আপিল বিভাগেও বহাল থাকে, সেখানে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনে অনেক সময় আটক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়—যেটি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ফৌজদারি অপরাধ।
উচ্চ আদালতের ওই ১৫ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে— আটক ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশ তার কারণ লিখে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ডাক্তারি সনদ আনবে। আটক ব্যক্তিকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের অভ্যন্তরে স্বচ্ছ কাচনির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে সর্বোচ্চ ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন; কিন্তু অনেক সময় আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন বা তারচেয়েও বেশি দিন রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আবার আদালত তা মঞ্জুরও করেন।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু রোধে যে আইন আছে, যেখানে বলা হয়েছে, হেফাজতে কাউকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেবেন।
আইনে আরও বলা হয়েছে, কাউকে হেফাজতে নির্যাতনের ফলে যদি তার মৃত্যু হয়, তাহলে নির্যাতনকারী অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেবেন।
সুতরাং মিতু হত্যার সঙ্গে আসলেই কে বা কারা জড়িত এবং তাদের কী শাস্তি হবে, সেটি সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে মীমাংসার বিষয়। কিন্তু একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা তার নিজের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে তার ওপরে অমানুষিক নির্যাতনের যে অভিযোগ এনেছেন, এটি শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হোক বা না হোক, এর মধ্য দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আসামিদের ওপর নির্যাতন এবং জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের যে অভিযোগ বছরের বছর ধরে নানা ঘটনায় সামনে এসেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে জনমনে একটি ভীতিকর বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই ধারণাকে আরও শক্তিশালী করবে—যেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য সুখকর নয়।
কিন্তু এভাবেই কি চলবে?
অনেকে মনে করেন, শারীরিক নির্যাতন ছাড়া অপরাধীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা যায় না। কিন্তু উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রগুলো কোন প্রক্রিয়ায় স্বীকারোক্তি আদায় করে? সব দেশেই কি এভাবে জবানবন্দি নেওয়া হয়? তারচেয়ে বড় কথা, দেশে যেখানে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু প্রতিরোধে একটি আইন রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে, ফলে আইন ও আদালতের নির্দেশনা মেনে চলা আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য। কারণ তারা আইনের রক্ষক।
মুশকিল হলো, স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে অপরাধীদেরকে যে প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেই একই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় নিরপরাধ মানুষকেও সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, নির্যাতন করা হয়—যেটি স্পষ্টত মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
অনেক সময় ভিন্ন মত দমন এবং রাজনৈতিক বিবেচনায়ও নাগরিকদের গ্রেপ্তার বা আটক করে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর অসৎ কর্মকর্তারা কারো কাছ কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ধরে নিয়ে নানারকম নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সুতরাং একুশ শতকের কোনো বাহিনী মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করবে, সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত হতে পারে না।
মিতু হত্যার ঘটনা নিয়ে শুরু থেকেই নাটকীয়তা চলছে। সুতরাং এই মামলার রায় হওয়ার আগে আরও কী কী ঘটবে, তা এখনো বলা মুশকিল। তবে পিবিআই যেহেতু এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় আলোচিত শহীদুল ইসলাম হত্যা; নামের মিলের কারণে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি থাকা নূর আলম ওরফে ভুট্টোর বিনা অপরাধে জেল খাটা; বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর সুলতান আহম্মদ চৌধুরীর বড় ছেলে জালাল উদ্দিন সুলতান হত্যা; রাঙ্গামাটির লংগদুর যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে নয়ন হত্যার পরদিন কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামের ২ শতাধিক বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা; ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের শনাক্ত ও দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার; প্রায় ৩০ বছর পর সগিরা মোর্শেদ সালাম নামে এক নারীর হত্যা-রহস্য উন্মোচনের মতো সাফল্য দেখিয়েছে—সেই ধারাবাহিকতায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায়ও তারা নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত থেকে তদন্ত করেছে এবং এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরাই শাস্তি পাবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে।
এই ঘটনা নতুন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নের মুখে ফেললে সেটি কারো জন্যই সুখকর হবে না।
আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments