প্রতিবেশীর ঘরের আলমারিতে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী মরদেহ

নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মা জাহানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সায়মা জাহান।
সায়মা জাহান। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মা জাহানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার যোশর গ্রাম থেকে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রিক্সা চালক হানিফা ও তার স্ত্রী সেলিনাকে আটক করেছে পুলিশ।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সায়মা উপজেলার যোশর ইউনিয়নের যোশর মুন্সিবাড়ি এলাকার সারোয়ার জাহানের মেয়ে। সে চর মরজাল মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সায়মা জাহান। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফা মিয়ার শিশু সন্তানকে জিজ্ঞেস করলে সায়মা তাদের ঘরে আছে বলে জানায়।

পরে প্রতিবেশী আজিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফা মিয়ার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় সায়মা জাহানের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত সায়মার বাবা সারোয়ার জাহান দাবি করেন, স্কুল থেকে ফিরে আমার মেয়ে খেলতে বের হয়। তার গলায় ১টি স্বর্ণের চেইন ও কানে দুল ছিল। প্রতিবেশী সেলিনা আমার মেয়ের সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। আমাদের কাছে সবকিছু বলে দেবে এই কথা বলার পর তারা আমার মেয়েকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বস্তাবন্দী করে আলমারিতে রেখে দেয়। তার শিশু মেয়েই আমাদেরকে এটি জানিয়ে দেয়।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফা ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago