সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে যুবদল নেতা মকসুদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সিলেট জেলা যুবদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে ‍তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট জেলা যুবদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে ‍তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।

তবে স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করেনি বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা। অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে বলেও এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আজ ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ের রাবিয়া ভিলা থেকে তালা ও দরজা ভেঙে মকসুদ আহমদকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

মকসুদ আহমদের ছেলে সাব্বির আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত সাড়ে ৪টার দিকে এসেছে ওরা, ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে বাবাকে নিয়ে গেছে। নেওয়ার সময় মারধর করেছে, খারাপ ব্যবহার করেছে। ওরা বলছিল- ওরা প্রশাসনের লোক।'

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বাবর আহমদ রনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতির স্টাইলে ঘরের তালা ও দরজা ভেঙে মকসুদ আহমদকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও অনতিবিলম্বে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।'

গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে জেলা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মকসুদ আহমদ।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী অন্যায়ভাবে বাড়ির দরজা ভেঙে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মকসুদকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে আদালতে পাঠানোর দাবি জানান।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে গেছেন বলে বিএনপি ও পরিবার সূত্র দাবি করলে, এ বিষয়ে জানতে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান এবং মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি আফসান-আল-আলমের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।

Comments