মধ্যমপন্থিতায় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা: মঈন খান

ছবি: বাসস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, 'বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডানপন্থী, বামপন্থী, মধ্যমপন্থী, চরমপন্থীসহ অনেক রকমের পন্থী আছে। তবে মধ্যমপন্থিতায় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা।'

মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'বিএনপির যত সমালোচনাই করুক, কিন্তু ঘুরে ফিরে সবাই একটি কথাই বলে, বিএনপি মোটামুটি মধ্যমপন্থী। এখানেই মনে করি বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা।' 

তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি বলবো অর্থনৈতিক—প্রলিফারেশন অব মানি ইন ডেমোক্রেসি। এটা সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও বিলেতে একটা কথা বলা হতো, "ডেমোক্রেসি ব্যাড বাট আদার সিস্টেমস আর ওয়ার্স্ট"। আমরা এখনো এমন কোনো পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারি নাই, যেটা ডেমোক্রেসির চেয়ে ভালো। যদিও ডেমোক্রেসি পদ্ধতির অনেক রকমের দুর্বলতা রয়েছে।'

'বিএনপির যত দোষ বা গুণ থাক না কেন, ঘুরে ফিরে শেষমেষ আমরা কিন্তু একটা কথা বলি, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিছু মানুষ ঠাট্টা করে বলতেন, বিএনপি তো ভদ্রলোকের দল, আসলে তারা কিছু করতে পারবে না। তখন উত্তর দিতাম, আমরা করতে চাই না, ভদ্রলোক হয়েই থাকতে চাই,' যোগ করেন মঈন খান।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদু মিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সিপাহি বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যাদু মিয়া বিভিন্ন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন। অধিকাংশ মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজেও উপস্থিত থাকতেন। সেখানে একটিমাত্র বিষয় ছিল—কীভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া যায়। আজকেও কিন্তু আমরা সে বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে যাচ্ছি। কী গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় ছিলেন যাদু মিয়া।'

'তিনি বহির্বিশ্বের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাংলাদেশকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন' উল্লেখ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মঈন খান।

Comments