মন্দির সভাপতির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ২ 

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর হাতিয়ার রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও মাইন উদ্দিন নামের ওই ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় সঞ্জয় চন্দ্র দাসের বাবা-মাসহ ৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাশেমকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন সঞ্জয় চন্দ্র দাস। 

সঞ্জয় চন্দ্র দাসের ভাই সমীর চন্দ্র দাস বলেন, 'বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে কাশেম মেম্বার ও তার লোকজন আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসেন। রাত ১০টার দিকে কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে ৬০-৬৫ জন আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার ভাই সঞ্জয় চন্দ্র দাসকে না পেয়ে বাবা দয়াল হরি দাস (৭৭) ও মা বিপুল রানী দাসসহ (৬০) পরিবারের ৪ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।'

হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, 'কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে রাতে হিন্দুবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই হামলা করেছেন কাশেম মেম্বার ও তার লোকজন। হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে সঞ্জয় চন্দ্র দাস মামলা করলে পুলিশ কাশেমের অনুসারী রুবেল ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।'

প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'দুর্গাপূজা শুরুর ১০দিন আগে মন্দিরের সভাপতির বাড়িতে হামলার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago