হাতিয়ায় ‘জলদস্যুদের’ ২ পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৩

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার হরনি ইউনিয়নের ঘাসিয়ার চর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। 

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন-হাতিয়া উপজেলার ঘাসিয়ার চর এলাকার মো. শাহবাজ (৩৫), সুবর্ণচর উপজেলার চর জিয়াউদ্দিন গ্রামের মো. কবির হোসেন (৩৫) ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের নবীর উদ্দিন ওরফে নুর নবী (৩৩)।

হাতিয়া থানার ওসির বরাত দিয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ জানায়, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার  সীমান্তবর্তী এলাকা হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য জলদস্যু খোকন ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় শুরু হয়। 

পুলিশ সুপার জানান, খবর পেয়ে কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে কোস্টগার্ড অভিযান চালালে দুই পক্ষই নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করে রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করে।

আটককৃতদের কাছ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ৬টি রামদা এবং ৫টি বল্লম জব্দ করা হয়।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি আটকের বিষয়টি ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তবে সংঘর্ষে নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, 'নিহতের বিষয়টি জনমুখে শুনলেও ঘটনাস্থল গিয়ে কোস্টগার্ড কোনো মরদেহের সন্ধান পায়নি।'
 

Comments