নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ডাইং কারখানার শ্রমিক মিজান শিকদার মিশর (৩০) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। 

আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বুলবুল দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু (২৬) এবং যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে ২ আসামি হলেন একই উপজেলার মুন্না (২৩) ও শায়ন (১৯)।

রায় ঘোষণার সময় সাজা পাওয়া ৩ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই দিনগত রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর কাইতাখালী এলাকার শফিউদ্দিন শিকদারের ছেলে মিজান শিকদার। তিনি গাজীপুরের একটি ডাইং কারখানায় কাজ করতেন।

মামলার নথির বরাতে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মিঠুর কাছে মিজান ৫০০ টাকা পেতেন। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে মিঠু ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে মিজানকে হত্যা করে। এই ঘটনায় ২৩ জুলাই বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মিজানের ভাই সাঈদ শিকদার। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।'

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বুলবুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলাটির বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ রায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সাজা প্রদান করেন।'

রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান মামলার বাদী সাঈদ শিকদার।

তবে যাজ্জীবন সাজা পাওয়া মুন্নার মা শাহিদা বেগম জানান, তার ছেলেকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago