গাজীপুর

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, আহত ৪

ইকবাল হোসেন সারোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক চোরাকারবারের অভিযোগ করায় প্রবাসীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সারোয়ার উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

আহতরা হলেন-কৃষক আব্দুল কাদির (৭০) ও মো. শাহজাহান শেখ (৬০) এবং সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ও সাখাওয়াত হোসেন স্বপন।

গত ১ অক্টোবরের ওই হামলার ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে এবং কালীগঞ্জ থানা এ বিষয়ে মামলার আবেদন গ্রহণ করেনি অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীরা আজ বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে সাখাওয়াত হোসেন স্বপন সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের ৩১ মে কালীগঞ্জের ইউএনও এবং জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাদক চোরাকারবারের একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মাদক চোরাকারবারের অভিযোগ আনা হয় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ দেওয়ার কারণে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার সহযোগীদের নিয়ে ১ অক্টোবর বিকেলে ফুলদী বাজার এলাকায় তাদের ওপর হামলা করেন বলে দাবি করেন সাখাওয়াত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামলার সময় তাদের কাছ থেকে স্মার্টফোনসহ নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীদের ভয়ে ওই সময় তাদের কেউ উদ্ধার করতে আসেননি।

পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগকারীরা আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী। সাখাওয়াত হোসেন স্বপন আমার মায়ের পায়ে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়ার পর তারাই আমাদের ওপর হামলা ও দোকান লুটপাট করে। আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।'

কালীগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, পুলিশ সুপারের কাছে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগ দেওয়ার পর কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মশিউর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিষয়টি তদন্ত করতে।

মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ সুপারের নির্দেশে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগের তদন্ত করে কিছু পাওয়া যায়নি।'

মামলার আবেদন গ্রহণ না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ নিয়ে এলে আইনগতভাবে দেখা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago