নোয়াখালী 

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে কলেজশিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নিহত কামরুল হাসান জোবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত কামরুল হাসান জোবায়ের (১৮) বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিন নগর গ্রামের বাসিন্দা এবং সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক্যালের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

তিনি চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'হত্যার ঘটনায় রাকিব ও পলাশ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।' 

নিহত জোবায়েরের বড় বোন নাছরিন সুলতানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার মাগরিবের নামাজের পর বন্ধু আরাফাত হোসেনের ফোনে জোবায়ের বাসার বাইরে যান। বাসা থেকে বের হয়ে প্রায় ১০০ গজ দূরে গেলে রাকিব, পিয়াস, আরিফসহ ৪-৫ জন জোবায়েরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।'

পুলিশ জানায়, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকালের দিকে জোবায়েরের সঙ্গে স্থানীয় রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে জোবায়ের বাসার বাইরে গেলে রাকিবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন জোবায়েরকে পেটায় এবং ছুরিকাঘাত করে। 

স্থানীয়রা জোবায়েরকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় তিনি মারা যান।

জোবায়েরের বন্ধু লাদেনের মা নুরনাহার বেগম পুস্প ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার কিশোর গ্যাং সদস্য রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাই জোবায়েরের নাম ধরে ডাকে এবং তুই করে বলে। এতে জোবায়ের তাদের বলে যে সে বয়সে ওই দুজনের সিনিয়র। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পিয়াসের ছোট ভাইকে জোবায়ের চড়-থাপ্পড় মারে। এ খবর শুনে রাকিব ও পিয়াস তাদের সহযোগী কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে জোবায়েরের ছুরি দিয়ে হামলা চালায়।'

খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান ও সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিবির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
asif nazrul election statement

'We will leave in February'

'We're determined to hold the election in February,' says Asif Nazrul

5h ago