পালাতে গিয়ে নিহত ৩: জেলা ছাত্রলীগ সা. সম্পাদকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলার সময় পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বুধবার মামলা হয়েছে। মামলায় ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানসহ ২০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত মুরাদ বিশ্বাস, তৌহিদ ও সমরেশ হোসেন ছমির। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলার সময় পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বুধবার মামলা হয়েছে। মামলায় ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানসহ ২০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

নিহতদের একজন ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি মুরাদ বিশ্বাসের বাবা বদিউজ্জামান বিশ্বাস বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আজমের আদালতে মামলাটি করেন।

আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হাসান সনি, সহ-সভাপতি তন্ময় চক্রবর্তী, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান আরিফ বিশ্বাস, ছাত্রলীগকর্মী নিয়ন মিয়া, মুস্তাকিম আহম্মেদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, নয়ন মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাব্বি, সাজেদুর রহমান সাজেদ, আসাদ, তৌফিক, ওলিউল্লাহ, সংগ্রাম জোয়ারদার, চুন্নু, লালু, সঞ্জু, মো. সাদী, ইকরামুল ইসলাম ও মামুন।

তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানের অনুসারী বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, 'সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ডিভিএম ডিগ্রির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মুরাদ ও জিএস সজিবুল হাসানের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হাসান সনির হঠাৎ করেই বিরোধ শুরু হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাগর হোসেন সোহাগ গত ৭ অক্টোবর রাতে সবাইকে শহরে ডাকেন। ভুক্তভোগীরা তার সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরবাথান সংলগ্ন জোহান পার্কের সামনে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুসারে আসামি ইকরামুল ইসলাম ভিপি মুরাদ ও তার সহপাঠীদের চা খেতে বলেন। চা খাওয়া শেষে তারা কলেজের উদ্দেশে রওনা হলে পথে ওঁৎ পেতে থাকে আসামিরা হামলা চালান। কলেজের জিএস সজিবুলসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম করেন তারা।'

'এ সময় কলেজের ভিপি মুরাদ, তৌহিদ ও সমরেশ হোসেন ছমির মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানের নির্দেশে আসামিরা তাদের ধাওয়া করে আঠারমাইল নামক স্থানে নিয়ে যান এবং ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা প্রচার করেন আসামিরা', মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

 এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মামলার বাদি বদিউজ্জামান বিশ্বাস অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান বলেন, 'রাজনৈতিক হয়রানি ও পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি এসব ঘটনায় জড়িত নই।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

55m ago