শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত

ওসমান হারুন মিন্টু
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় অভিযুক্ত ওসমান হারুন মিন্টু।

৩০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম বন্দর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে থেকে অভিযুক্ত ওসমান হারুন মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামি মিন্টু রিকশাচালক। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার আজম আলীর ছেলে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন পোর্ট কলোনি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে বিরানি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৯টায় হালিশহর স্বপ্ন সুপারশপের পাশ থেকে শিশুটিকে রিকশায় তুলে নেওয়া হয়।'

শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকারীকে ধরতে পুলিশ তদন্তে নামে। সিসিটিভিতে দেখা যায় একজন রিকশাওয়ালা শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশ টানা ৩০০ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ বলেন ডিসি শাকিলা সোলতানা।

'গ্রেপ্তার এড়াতে দাড়ি রাখা শুরু করে আসামি মিন্টু। পুলিশ তাকে ধরতে নগরীর বিভিন্ন রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। তবে ভিকটিমের সাথে থাকা আরেক শিশু তাকে চিনতে সমর্থ হয়,' বলেন বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদ।

তাকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago