মিরপুরে ৫ ট্রাফিক বক্সে রিকশাচালকদের হামলা, কনস্টেবল আহত  

রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা ৫টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছেন। এ সময় এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা ৫টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছেন। এ সময় এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকায় আদর্শ স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রাফিক বিভাগের (পল্লবী জোন) সহকারী কমিশনার (এসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, সকালে আদর্শ স্কুলের সামনে ট্রাফিক কনস্টেবল মিজানুর রহমান ২টি অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশাচালক মিজানুরের ওপর হামলা চালান। এ সময় সেখানে থাকা অন্য আরেকজন ট্রাফিক পুলিশ পালিয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

হামলায় মিজানুরের মুখমণ্ডল থেঁতলে যায়। পরে ২ পথচারী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তার মুখে ১৩টি সেলাই লেগেছে।

ঘটনার পর রিকশাচালকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর তারা জোট বেঁধে মিরপুর ১২, কালশী ও সাগুফতা এলাকাসহ কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালান। পুলিশের একটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করেন তারা।

রিকশাচালকদের অভিযোগ, তারা পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে মামলা, ঘুষসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ কার্যকর করতে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের যানবাহনের চালকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলেছেন, যার ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে।'

'আমরা যখন এসব অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিলাম, তখন চালকরা একজোট হয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালান। তাদের মালিকরা প্ররোচনা দিয়ে থাকতে পারেন। তারা এলাকার প্রভাবশালী লোক', যোগ করেন তিনি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।

হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লাঞ্ছিত করা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয়ের ১০০-১৫০ জনকে আসামি পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। পল্লবী থানার উপপরিদর্শক জিয়াউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

Comments