চুরি করতে করতে ভোর, গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯ এ কল

চুরি করতে রাতে তালা ভেঙে মুদি দোকানে ঢুকেছিলেন মো. ইয়াছিন খাঁ। কিন্তু মালামাল চুরি ও সেগুলো ব্যাগভর্তি করতে সময় গড়িয়ে হয়ে যায় ভোর। দোকানের সামনে বেড়ে যায় লোকজনের আনাগোনা। ফলে পালাতে না পেরে গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চান তিনি।
বরিশাল
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চুরি করতে রাতে তালা ভেঙে মুদি দোকানে ঢুকেছিলেন মো. ইয়াছিন খাঁ। কিন্তু মালামাল চুরি ও সেগুলো ব্যাগভর্তি করতে সময় গড়িয়ে হয়ে যায় ভোর। দোকানের সামনে বেড়ে যায় লোকজনের আনাগোনা। ফলে পালাতে না পেরে গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চান তিনি।

ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঠিকই, কিন্তু অন্য চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে।

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজারে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজামান জানান, ইয়াছিন খাঁ পেশায় চোর। দীর্ঘদিন ধরেই এ কাজ করছেন তিনি। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা ও অভিযোগ আছে।

গতকাল বুধবার সকালে এআরখান বাজারের ঝন্টু হাওলাদারের মুদি দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধারের পর ইয়াছিন পুলিশকে জানান, রাতে তিনি চুরি করতে দোকানে ঢুকেছিলেন। কিন্তু চুরি শেষ করতে ভোর হয়ে গেলে দোকানের সামনে লোকজন বেড়ে যায়। তখন আর দোকান থেকে মালামাল নিয়ে পালানোর সুযোগ ছিল না। ধরা পড়লে জনতার হাতে মারধরের শিকার হবেন, এমন আশঙ্কা থেকে ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চান তিনি।  

ওসি বলেন, 'তাকে অন্য একটি চুরির মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং বুধবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।'

Comments