ফালুর অর্থপাচার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান, অধিকতর তদন্তের আবেদন

মোসাদ্দেক আলী | ছবি: সংগৃহীত

দুবায়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পরবর্তী তদন্তের জন্য আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চেয়ে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেন।

সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন আগামী ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

আবেদনে প্রসিকিউটর বলেন, দুদক তদন্ত প্রতিবেদনে কিছু ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে যা তদন্ত কর্মকর্তার আগে দাখিল করেছিলেন। তিনি আবেদনে আরও বলেছেন, এ কারণে মামলাটি অন্য তদন্তকারীর মাধ্যমে অধিকতর তদন্ত করা দরকার।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ফালুসহ আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং চার্জশিটে পলাতক দেখানো হওয়ায় তার (ফালু) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফালুকে হাজির হতে বলা হয় কিন্তু তিনি আদালতের আদেশ পালন করেননি। এরপর বিচারক মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ট্রায়াল কোর্টে স্থানান্তর করেন।

মামলারা অন্য দুজন আসামি হলেন, আর এ কে সিরামিকস অ্যান্ড রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ স একে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।

তারা দুজন আগেই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ম. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার এজাহার মতে, ফালু ও অপর ৩ ব্যবসায়ী আর এ কে সিরামিকস ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন।

আদালতের নির্দেশ মতে,  এ মামলার সূত্রে দুদক ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ফালুর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

14 arrested over attacks, clashes in Gopalganj

At least 14 people have been arrested so far in connection with yesterday’s attack on NCP rally and subsequent clashes with law enforcers

13m ago