চট্টগ্রামে পুলিশের নির্যাতনে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগে মামলা
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন কৃষক দল নেতা। এতে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন এবং হেফজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—রাউজান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ ও উপপরিদর্শক শেখ মো. জাবেদ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আদালত এখনো কোনো আদেশ দেননি। আমরা আদেশের অপেক্ষা করছি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ নুরুকে সাদা পোশাকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। আসামিরা তাকে রাত অনুমানিক ৩টা পর্যন্ত নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ ও নায়লনের রশি দিয়ে দুহাত বেঁধে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে রাতে যে কোনো সময় নুরুকে মাথায় গুলি করে হত্যার পর মরদেহ বাগওয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীরে ফেলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নুরুর স্ত্রী সুমি আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে। পরদিন পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে ৩১ মার্চ মরদেহ দাফন করা হয়।
নুরে আলম মিনা ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি সব সময় পেশাদার পুলিশিং করে এসেছি। কারো প্রতি কখনো অন্যায় করিনি, কেউ যদি অভিযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগের বিষয়টি আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি, এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না।
Comments