নাইকো দুর্নীতি মামলা

খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে ল’ পয়েন্ট উপস্থাপন

ল’ পয়েন্ট উপস্থাপন করে নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে আইনগত বিষয় তুলে ধরেছেন তার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
khaleda zia
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ল' পয়েন্ট উপস্থাপন করে নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে আইনগত বিষয় তুলে ধরেছেন তার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বিশেষ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আগামী ১৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পান। ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়।

সিআরপিসির ৪০১(১) ধারায় বলা হয়েছে, 'যখন কোনো ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হয়, তখন সরকার যে কোনো সময় শর্ত ছাড়াই অথবা শর্তের বিনিময়ে (দণ্ডিত ব্যক্তি গ্রহণ করে) শাস্তি কার্যকর স্থগিত করতে পারে। অথবা তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পুরো বা যে কোনো অংশ স্থগিত করতে পারে।'

পরবর্তীতে কয়েক দফা খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এ কে এম মোশাররফ হোসেন ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত বছরের ১৬ মার্চ মারা গেছেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি ৬ জন বর্তমানে জামিনে আছেন। আরেক আসামি কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

4h ago