কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হলো বাবুল আক্তারকে

বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগার থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

ধানমন্ডি থানায় প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আক্তার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে কারাগার সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বুধবার তাকে ঢাকায় নেওয়া হলেও আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি জানা যায়।

ফেনী কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবুল আক্তারকে ঢাকায় দায়ের করা মামলায় হাজিরার জন্য ফেনী কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

২৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ইলিয়াস হোসাইন (৪৮), বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে 'স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব' শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।

এর আগে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলার আবেদন করেছিলেন তিনি। ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল।

অন্যদিকে মিতু হত্যা মামলায় বাবুলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রামের আদালত।

 

Comments

The Daily Star  | English

Shammo murder: DMP chief pledges to end probe within a week

Says case to be sent to a special tribunal after investigation

44m ago