পিবিআই প্রধানের মামলায় বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি

বাকি আসামিদের মধ্যে বাবুলের ভাই লাবু এখন জামিনে এবং ইলিয়াস পলাতক।
বাবুল আক্তার
বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পিবিআই প্রধানের করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া।

তবে একই মামলায় বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলার ডকেট ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র যাচাই করে এ আদেশ দেন বলে জানান পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।

ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছে।

আসামিদের মধ্যে লাবু এখন জামিনে এবং ইলিয়াস পলাতক।

গ্রেপ্তার এড়াতে ইলিয়াস বিদেশে চলে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে ইলিয়াস হোসেনকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইও।

মিটু হত্যা মামলার মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন বাবুলের স্ত্রী মিতু তার ছেলেকে বন্দরনগরীর জিইসি মোড়ে স্কুল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর বাবুল বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরে সিএমপির ডিবির কাছ থেকে মামলার দায়িত্ব নেয় পিবিআই।

গত বছরের ১১ মে চট্টগ্রাম পিবিআই বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কার্যালয়ে তলব করে। তিনি গোয়েন্দাদের সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন এবং পিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরদিন মিতুর বাবা বাবুলকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মিতুর বাবার অভিযোগ, বাবুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।

 

Comments