কিশোরগঞ্জের ডা. কাউসার ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’র অভিযোগে গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা কাউসারকে (২৮) 'জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা'র অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মির্জা কাউসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক।
সিটিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, 'ডা. কাউসার জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একজন শীর্ষ নেতা।'
গত শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলা থেকে ডা. কাউসারকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিল চিকিৎসকের পরিবার। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়।
এরপর সোমবার সিটিটিসি কর্মকর্তারা তার গ্রেপ্তার ও 'জঙ্গিবাদে' জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করেন।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাউসার আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা এবং তার নেতৃত্বে সংগঠনটির সামরিক শাখার বেশ কয়েকজন সদস্য সক্রিয় আছে।'
তদন্তকারীদের বক্তব্য, কিশোরগঞ্জে সংগঠনটির সব কর্মকাণ্ডের জন্য কাউসার দায়ী। তিনি ২০১৩ সাল থেকে জঙ্গিবাদে জড়িত।
সিটিটিসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'আমরা কাউসারের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম পেয়েছি যারা জঙ্গি সংগঠনের জন্য কাজ করেন।'
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণখান থানায় করা একটি সন্ত্রাসবাদী মামলার তদন্তকালে কাউসারের যোগসূত্র পাওয়া যায়।
ওইদিন একই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম ওরফে শাকিল ও রেজাউল আলম ওরফে টিংকুকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।'
শাকিল কাউসারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে সোমবার আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডা. কাউসারকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় তাদের হেফাজতে আছেন।'
ডা. মির্জা কাউসারের পরিবারের সঙ্গেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ।
Comments