নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও বিস্ফোরক আইনে মামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নরসিংদীতে এবার বিএনপির ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন মামলাটি করেন।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া আজ বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলামকে। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে নরসিংদী সদর থানায় ৩টি মামলা করল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক বসে। এ সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা সময় ধরে চলা অভিযানে একটি রিভলবার, কিছু ককটেলসদৃশ বস্তু ও অর্ধশতাধিক মশাল জব্দ করা হয়।

আটক ১০ জনের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান, বিএনপিকর্মী আবদুল বাতেন, তফাজ্জল হোসেন ও কামাল ভূঁইয়া।

মামলার বাদী ও নরসিংদী মডেল থানার এসআই মো. মনির হোসেন জানান, তাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল, সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং যানবাহন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের মতো নাশকতা সৃষ্টির জন্য ওই বৈঠক চলছিল।

এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির বলেন, 'আমরা নিজ কার্যালয়ের ভেতর সাংগঠনিক বৈঠক করছিলাম। বৈঠক চলাকালে পুলিশ এই অভিযানের নাটক সাজায়। আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।'

এর আগে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান হাসানকে তার নিজ বাড়ি থেকে ককটেল, হাতবোমা, গান পাউডার ও বোমা বানানোর সরঞ্জামসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ইমান হাসানসহ বাকি যে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

এর ২ দিন পর গত ১০ নভেম্বর আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকার ওরফে কাইয়ুম মিয়ার বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য, গান পাউডার, ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে নরসিংদী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ জন নেতার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করে পুলিশ। একই মামলায় সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ইমান হাসানকেও আসামি করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago