নাশকতার অভিযোগে কেন্দুয়া পৌর বিএনপির ৯ নেতা কারাগারে

নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ৯ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
নেত্রকোণা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ৯ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নাশকতার অভিযোগে গতকাল রাত ৮টার দিকে পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদকে তার নিজ বাসার সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসময় আদমপুর এলাকার নিজ ওষুধের দোকান থেকে সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক হওয়া অন্যরা নেতারা হলেন- আশুজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহেল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল হেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা সাদ্দাম হোসেন, আঞ্জু মেম্বার ও মো. মাসুদ মিয়া।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আজ তাদেরকে নেত্রকোণার একটি আদালতে পেশ করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

'গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব নেতা-কর্মী আশুজিয়ার বীরগঞ্জ বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে,' বলেন ওসি।

পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপপরিদর্শক তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন বলে জানান তিনি।

এদিকে নেতা–কর্মীদের আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, 'গায়েবি মামলা দেখিয়ে ৯ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপিকে প্রতিহত করা যাবে না।'

Comments