এএসপি শিপন হত্যা মামলা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল

এএসপি শিপন হত্যা মামলা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল
আনিসুল করিম শিপন। ছবি: সংগৃহীত

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

২০২০ সালের ৯ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন মারা যান বলে অভিযোগ করা হয়। 

পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ কে এম নাসির উল্লাহ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বাকি ১৪ আসামি হলেন- হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২), সাখাওয়াত হোসেন রেমন ও সাজ্জাদ আমিন; মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়; সমন্বয়কারী রেদওয়ান সাব্বির সজিব; রান্নাঘরের কর্মী মাসুদ খান; ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল ও সাইফুল ইসলাম পলাশ; গার্ড লিটন আহমেদ এবং ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।

চার্জশিটে আইও বলেছেন, তিনি এনআইএমএইচের ডা. মামুন, ডা. মামুন (২), ফাতেমা এবং সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি। তবে তাদের আগের চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাদের নাম বাদ দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই।

এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন গ্রেপ্তার এড়াতে বিদেশে চলে গেছেন এবং বাকি ১৪ জন এখন জামিনে রয়েছেন।

তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা না পাওয়ার কারণে এফআইআরে উল্লেখ থাকা অভিযুক্ত ডা. নুসরাতের নাম বাদ দেন আইও।

অপর আসামি ডা. নিয়াজ মোরশেদ মারা যাওয়ায় তার নামও চার্জশিট থেকে বাদ পড়েছে।

এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যাডিকশন হাসপাতালে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

শিপনের মৃত্যুর পর তার বাবা ফয়জুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে হাসপাতালের ৫ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৯ মার্চ আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

তবে ভিকটিমের বাবা একটি অনাস্থা আবেদন দাখিল করেন, যেখানে এফআইআরভুক্ত আসামি ডা. নুসরাতকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেননি মামলার আইও। যদিও মামলায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলে বলা হয়েছে।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ঢাকার আরেকটি আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Tribute to July uprising: Drone show lights up Dhaka's sky

In 12 vivid motifs, the July uprising came alive, tracing the heroism of Abu Sayed and the stirring role of women in the movement

8h ago