২ এনআইডি রাখা মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ডিবির অভিযোগপত্র

ডা. সাবরিনা। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া তথ্য দিয়ে ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপার্সন ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিবির উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিপন উদ্দিন গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে আইও বলেন, ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্যসহ ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের জন্য তাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

২০২০ সালের ৩০ আগস্ট গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মিয়া সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিবরণী ও নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ থেকে জানা যায়, করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ভোটার হন। সে সময় তিনি মোহাম্মদপুরে তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর তার জন্ম তারিখ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি তার স্বামীর নাম 'হক' এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করেন।

কিন্তু ২০১৬ সালে করা দ্বিতীয় এনআইডিতে তিনি বাড্ডায় তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং তার স্বামীর নাম 'আরিফুল চৌধুরী' উল্লেখ করেন। ওই জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর তার জন্ম তারিখ হিসেবে ব্যবহার করেন।

তিনি তার মায়ের নামও পরিবর্তন করেন। সেইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতাও পরিবর্তন করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখান স্নাতক।

ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর মতে, ২টি এনআইডি রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সর্বনিম্ন শাস্তি ২ বছরের জেল ও জরিমানা বা উভয় হতে পারে।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুলাই ভুয়া করোনার সনদ ইস্যু বিষয়ে দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

Comments

The Daily Star  | English

Promises on paper, pollution in reality

Environment Adviser Syeda Rizwana Hasan’s admission of failure to stop rampant stone extraction in Sylhet’s Jaflong may be honest, but it highlights her glaring limitations as an administrator.

8h ago