টেকনাফে ইয়াবা চোরাকারবারিদের হামলায় পুলিশের এএসআই আহত
কক্সবাজারের টেকনাফে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইয়াবা চোরাকারবারিদের হামলায় আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি ও তার ২ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোহাম্মদ সাকের মিয়া মানবপাচার ও মাদক চোরাচালান মামলার আসামি। তিনি আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা চোরাকারবারি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সোমবার ভোররাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকায় পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার এএসআই মো. সাখাওয়াত হোসেন আহত হয়েছেন।'
গ্রেপ্তার ৩ জন হলেন, মুন্ডারডেইল এলাকার মো. সাকের মিয়া, তার ভাই মনু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম।
ওসি বলেন, 'মুন্ডারডেইল এলাকার বাসিন্দা মো. সাকের মিয়ার বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১২ সালে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি ওই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। আজ ভোররাতে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় সাকের মিয়াকে ছিনিয়ে নিতে তার আত্মীয়স্বজনসহ সংঘবদ্ধ ইয়াবা চোরাকারবারিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে পুলিশের এএসআই সাখাওয়াত হোসেন গুরুতর আহত হন। এতে তার ঠোঁট কেটে যাওয়ায় ৩টি স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের আরও একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামি সাকের মিয়া ও তার ২ ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।'
আব্দুল হালিম বলেন, 'আহত পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি সাকের মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানা এবং টেকনাফ থানায় মানবপাচার, মাদক চোরাকারবার ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, তিনি আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা চোরাকারবারি। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অন্যদের সঙ্গে আত্মস্বীকৃত ইয়াবা চোরাকারবারি হিসেবে আত্মসমর্পণ করেছিল তিনি।'
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সকালে সাকের মিয়া ও তার ২ ভাইসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
Comments