এ্যানিসহ বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে পুলিশ আটক করে। নয়াপল্টন, ৭ ডিসেম্বর ২০২২। ছবি: পলাশ খান/স্টার

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩৮ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন আজ এই আদেশ দেন।

জামিন আবেদনে বলা হয়, এই মামলার আসামিদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।

এর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় জামিনের আবেদন খারিজ করা উচিত।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর একই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো খারিজ করে দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের একদিন পর এ মামলা করা হয়।

তবে গত ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির দুই নেতা আমানউল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেন ঢাকার আরেকটি আদালত।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় বিএনপির একজন নিহত ও দুই পক্ষে বহু আহত হন। সংঘর্ষের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ককটেল উদ্ধারের কথা দাবি করে পুলিশ। অভিযানের পর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাড়ে ৪ শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৯ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলায় দলের সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেদিনই ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম ২ নেতাকে কারাগারে পাঠান।

 

Comments