মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো নামঞ্জুর

রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

ফখরুল ও আব্বাসের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়ে ৮ ডিসেম্বর বিএনপির অপর দুই নেতা আমানুল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল জামিন পেয়েছেন এবং এ বিষয়টি উল্লেখ করে জামিন মঞ্জুরের আবেদন করেছিলেন বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা।

তবে সরকারপক্ষের আইনজীবী আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে বলেন, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা ফখরুল ও আব্বাসসহ শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে সেদিন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে, ম্যাজিস্ট্রেট মামলায় এই দুই নেতার বিরুদ্ধে আনা অপরাধের গভীরতা বিবেচনা করে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গতকাল জামিনের আবেদন করেন এবং ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

এর আগে ১২ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ ২২২ জনের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের একদিন পর ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

সেদিনের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছে।

মামলায় গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মোট ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।

৯ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দলের সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওই দুই বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

৪ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে রিজভীকে 

শাহবাগ থানায় করা আরও ৪টি মামলায় বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ৪টি আবেদন জমা দেওয়ার পর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৭ নভেম্বর বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Comments