৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: বিপিসির প্রতি হাইকোর্টের অসন্তোষ

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসি) বিরুদ্ধে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিপিসির প্রতি অসন্তোষ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসি) বিরুদ্ধে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিপিসির প্রতি অসন্তোষ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কি শুধু ঘুমায়, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ বিষয়ে সুওমুটো রুলের শুনানিকালে এ কথা বলেন।

বিপিসির আইনজীবী মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুস সামাদ আজাদ, জানান, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সায়েদ অনিয়ম ও পাচারের মূল পরিকল্পনাকারী। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তারা আরও বলেন, বিপিসি আর্থিক অসঙ্গতির তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং আদালতের সামনে আপডেট দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।এদিকে রোববার কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকের মাধ্যমে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করে বলেছে যে, গত বছরের ৪ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় 'State coffers robbed of Tk 4,697cr by Petrobangla, BPC' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা বস্তুনিষ্ঠ।

হাইকোর্ট বেঞ্চ বিপিসি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই বিষয়ে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলেছেন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিপিসি এবং সিএজিকে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল করপোরেশনের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের পর, হাইকোর্ট গত বছরের ৬ নভেম্বর সুওমুটো রুল জারি করে বিপিসি এবং সিএজিকে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করতে বলে।

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল করপোরেশনের পাঁচ পরিচালকের একজন এবং এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম সম্পর্কে দুদককে হালনাগাদ করতেও বলেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।

Comments