গাজীপুরে রবিউলের মৃত্যু: ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২ মামলা

বাসন থানার সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক। ছবি: স্টার

গাজীপুরে ব্যবসায়ী রবিউলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বুধবার পুলিশ বক্সে হামলা-ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নগরীর বাসন থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ দুটি মামলা হয় বলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে।

তবে দুই মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

পুলিশের নির্যাতনে ব্যবসায়ী রবিউল মারা গেছে, এমন খবরে গত বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়।

সে সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়িতে আগুন, পুলিশ বক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

মৃত মো. রবিউল ইসলাম (৩৮) ভোগড়া বাইপাস সড়কের পেয়ারাবাগান শাহানাজ গলি এলাকায় টেইলরিং অনুষঙ্গ বিক্রি করতেন।

রবিউলের ভাই মহিদুল ও চাচাতো ভাই স্বপন খান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জুয়া খেলার অভিযোগে গত শনিবার রাতে বাসন থানা পুলিশ রবিউলকে তার দোকানের কাছ থেকে ধরে নিয়ে যায়। 

তবে পুলিশ বলছে, জুয়া খেলার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রবিউলসহ চারজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু ডেইলি স্টারকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রবিউলসহ চার জনকে আটক করে থানায় আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, রবিউলের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয় তাকে নিয়ে যেতে। স্বজনেরা মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে থানা থেকে রবিউলের নিয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে ভোগড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় রবিউল আহত হন। স্বজনেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তিনি মারা যান। 

এ ঘটনায় বাসন থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন--বাসন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুব রহমান ও নুরুল ইসলাম।

রবিউলের মৃত্যু ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

10h ago