কলেজছাত্রীর মামলায় বাসাইলের সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে কলেজছাত্রীর দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইলের একটি আদালত আজ (সোমবার) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বাদীর আইনজীবী রাসেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত বছরের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দেয়। পিবিআই তদন্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
গতকাল (রোববার) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে আজ বিচারক ওই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, 'ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২০২১ সালে বাসাইল ইউএনও থাকাকালে মঞ্জুর হোসেনের পরিচয় হয়।পরে ইউএনও টাঙ্গাইল শহরে ভুয়া নাম ও পেশার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে তাকে নিয়ে ২ মাস ধরে একসঙ্গে বসবাস করেন। পরে ইউএনও সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার কথা বলে তাকে নিয়ে ভারতে নিয়ে যান। তবে তার পাসপোর্ট দেখে ওই শিক্ষার্থী জানতে পারেন মঞ্জুর বিবাহিত এবং দুটি সন্তান রয়েছে। ভারতে ১২ দিন থাকার পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফেরেন। পরে ইউএনও তার মোবাইল ফোন থেকে তাদের সম্পর্কের সব ছবি ও ভিডিও মুছে দেন। এ ব্যাপারে তাকে হুমকিও দেন তিনি। এরপর তিনি এ ব্যাপারে বাসাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।'
আরও বলা হয়েছে, 'ইউএনও মঞ্জুর বাসাইল থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি হচ্ছেন জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন এবং তাকে আইনি নোটিশও দেন।'
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য টাঙ্গাইলের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং শুনানি শেষে কলেজছাত্রী ও ইউএনওর মধ্যে সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে গত বছরের ৮ এপ্রিল ইউএনও মঞ্জুরকে তার কর্মস্থল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
ইতোমধ্যে মঞ্জুর ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেছেন, যা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থীর আইনজীবী রাসেল রানা।
Comments