পোস্ট অফিস কর্মী থেকে শীর্ষ জঙ্গি
২০০৭ সালের আগে পোস্ট অফিসে কাজ করতেন মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদ। সেসময় তিনি বিভিন্ন স্থানে ডাকাতিও করতেন।
ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি অবস্থায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতাদের সংস্পর্শে এসে তিনি উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন।
র্যাব জানায়, জামিনে মুক্তির পর জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন রনবীর। ২০১৭ সালে সদ্য প্রকাশিত সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে যোগ দেন। পরে তিনি সংগঠনটির শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান হয়ে ওঠেন।
সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে গোলাগুলির পর ৪৪ বছর বয়সী রণবীরসহ ২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন জঙ্গি সংগঠনটির 'বোমা বিশেষজ্ঞ' আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলম।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযান নিয়ে কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, 'ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস- আইইডিসহ বিভিন্ন ধরণের বোমা তৈরিতে দক্ষ ছিলেন রনবীর। ১ বছর আগে তিনি জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান হন। সংগঠনের আমীরের নির্দেশনায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি শূরা কমিটির সভার আয়োজন করেন তিনি। এসব সভায় সংগঠনের সামরিক শাখার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।'
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, সামরিক শাখার সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ২০২১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে জামাআতুল আনসার ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় অন্যান্য শুরা সদস্যদের সঙ্গে রনবীরও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে সিলেট থেকে ৪ যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকবার তিনি পার্বত্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সামরিক শাখার সদস্যদের প্রশিক্ষণ তদারকি করেছেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আবুল বাশার ২০১৬ বা ২০১৭ সালে জামাআতুল আনসারে যোগ দেওয়ার আগে হরকাত-উল-জিহাদ-আল ইসলামী বাংলাদেশের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ২ বছরে কথিত হিজরতে যোগ দিতে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া ৫০ জন যুবকের তালিকায় তিনি ছিলেন।
Comments