ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট কন্ট্রোল করার জন্য না: আইনমন্ত্রী

ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট কন্ট্রোল করার জন্য না, প্রটেক্ট করার জন্য বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট কন্ট্রোল করার জন্য না, প্রটেক্ট করার জন্য বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ আইন প্রসঙ্গে আইনসুল হক বলেন, 'আমরা অবশ্যই এই আইনটি সংসদে নেব। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, স্টেকহোল্ডার যারা আছেন এবং ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট সম্পর্কে যাদের বক্তব্য আছে তাদের কথা শোনা হবে না।'

'ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে যখন সেমিনার হচ্ছিল তখন বলেছিলাম, এটা কন্ট্রোল করার জন্য না, প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুসারে ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা হবে,' বলেন আনিুসল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা এখন বাড়িয়েছি। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে—বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।'

কর্মকর্তাদের সেভাবে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, 'কতগুলো অ্যাসিসট্যান্ট প্রসিকিউটর এবং অ্যাডিশনাল প্রসিকিউটর ও অ্যাডিশনাল জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।'

'আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রথমবারের মতো আমরা তাদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করেছি,' বলেন তিনি।

বেতন বাড়ানোর কারণ হিসেবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে।'

এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নির্বাচনের পরে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা চেষ্টা করবো এখনই করার জন্য। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।'

Comments