সিলেটে সোনিয়া হত্যা: অভিযুক্ত মামাতো ভাই সজিব গ্রেপ্তার

সোমবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিলেটে সোনিয়া আক্তার হত্যা মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ (র‌্যাব)। সোমবার রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. সজিব (২৫) হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত সোনিয়া আক্তারের মামাতো ভাই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক জানান, 'সোনিয়া হত্যার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু কর র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় প্রধান অভিযুক্ত সজিবের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।'

তিনি জানান, 'সোমবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঢাকায় পালিয়ে যান।'

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বেলাল আহমদের মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২১) তার মা, সৎ বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলা এলাকায় বসবাস করতেন। গত রবিবার দুপুরে খুলিয়াটুলার বাসায় তার গলা ও ডান হাতের রগ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আজ ভোররাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সোনিয়ার ভাই পারভেজ আহমেদ। মামলায় মো. সজিবের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, সজিব দীর্ঘদিন ধরেই সোনিয়াদের বাসায় স্ত্রীর চিকিৎসার সুবাদে আসা-যাওয়া করতেন এবং সোনিয়ার সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ ছিল। গত শনিবারে সোনিয়া চাকরির সন্ধানে সজিবের সঙ্গে বিয়ানীবাজার যায় কিন্তু। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোনিয়া চাকরিতে যোগ না দিয়ে সেদিনই বাসায় ফিরে আসেন। সোনিয়ার সৎ বাবা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় রোববার ভোরে সোনিয়া ও সজিব ছাড়া পরিবারের সবাই হাসপাতালে যান। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনিয়ার মা বাসায় ফিরে সোনিয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ইতোমধ্যে সজিব বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এছাড়াও বিছানার নিচ থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।

Comments