ইবির ছাত্রী নির্যাতন: হাইকোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন জমা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে আজ সোমবার প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও টেলিভিশনে ভারতীয় চলচ্চিত্র 'ফারাজ- এর প্রদর্শন ও স্ট্রিমিং বন্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্টার ফাইল ফটো

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে আজ সোমবার প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'ইবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত কমিটি ঘটনাটি তদন্ত করেছে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।'

অবশ্য এ ব্যাপারে আজ দুপুর দেড়টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, 'আমরা এই তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি আজকের মধ্যে পেয়ে যাব।'

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ফুলপরীকে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদেশ বলা হয়, জেলা প্রশাসক প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট), জেলা জজ কর্তৃক মনোনীত একজন জুডিশিয়াল অফিসার (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপককে নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করবেন এবং কমিটি গঠনের ৭ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে এই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। 

এ ছাড়া আদালত ভুক্তভোগী ছাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'ভুক্তভোগী চাইলে এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা করতে পারেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Debt crisis

Foreign debt servicing likely to soar by 45pc

The government’s foreign debt servicing burden may rise by as much as 45 percent in the next fiscal year due to the devaluation of taka and higher utilisation of foreign loans in recent years.

13m ago