সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ নির্দেশ দেন।
সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চিকিৎসার নামে আত্মসাৎ করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রেজাউল করিম রেজা জানান, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট বিদেশে চিকিৎসার নামে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫টি মামলাই খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে অপর আসামি আশরাফ-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

রেজাউল করিম বলেন, জমির উদ্দিন সরকার আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট তাকে সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করা অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জমিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

অন্য ২ অভিযুক্ত হলেন- সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সংসদ সচিবালয়ের সাবেক প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফ-উল-ইসলাম।

২০১২ সালের ৭ নভেম্বর এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

২০১৩ সালের ৩০ মে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহিরুল হক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন।

ওই আদেশের পর জমির উদ্দিন সরকার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে পৃথক ৫টি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক রায়ে বলেন, বিচার কাজ চলবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জমির উদ্দিন সরকার বিদেশে চিকিৎসার নামে প্রায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। স্পিকার হিসাবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নিজেই এর অনুমোদন দিয়েছিলেন। আশরাফ তাকে সাহায্য করেছিলেন, উৎসাহ দিয়েছিলেন।

Comments