পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আদালতে বসেননি ৪ বিচারক

ছবি: স্টার

পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকাল বিক্ষোভ দেখানোর পর আজ সোমবার আদালতে বসেননি চার বিচারক।

ওই চারজন ছাড়া অন্যান্য বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন এবং আদালতের বাকি সব কাজ স্বাভাবিক ছিল।

আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের সমাগম দেখা গেলেও ওই চার বিচারকের অনুপস্থিততে তাদের আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

তারা আদালতে না বসায় আজ যেসব মামলার দিন ধার্য ছিল, সেগুলোর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করতে দেখা গেছে।

পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আদম সুফি বলেন, 'জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারক আজ আদালতে বসেননি।'

ওই চার বিচারকের বিষয়ে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোসনেয়ারা পারভীন বলেন, 'তারা ছুটিতে আছেন। তাদের বদলি বা চলে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো আসেনি।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের অন্যতম সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, 'বিচারকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক আমাদের কাছে লিখিত আবেদন চেয়েছেন। আমরা সেটি প্রস্তুত করছি, আগামীকালের মধ্যে জমা দেবো।'

গতকাল পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে আদালত ঘেরাও, আদালতের মূল ফটকে তালা ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। জেলা প্রশাসক তাদের প্রতিশ্রুতি দেন, অভিযোগ ওঠা এই চার বিচারক পঞ্চগড় আদালতে কোনো বিচারকাজ করবেন না এবং তারা এখান থেকে চলে যাবেন।

এর আগে গত বুধবার নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও সংগঠনের নেতাদের হুমকির অভিযোগে জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আন্দোলনকারীরা জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম ফারুক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুজ্জামান ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে 'আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর'র ভূমিকা পালনের অভিযোগ তোলেন।

ওই দিন বিক্ষোভকারীরা এই চার বিচারককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সময়সীমার মধ্যে তাদের বদলি বা অপসারণ না করায় রোববারও আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

43m ago