আহমদিয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৬

এ নিয়ে ২৬ মামলায় মোট গ্রেপ্তার ১৯৯ 
গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ছবি: মো. কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত/স্টার

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের 'সালানা জলসা' বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে মোট ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পঞ্চগড় ও বোদা থানায় ক্ষতিগ্রস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মোট ২৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থানায় ২১টি ও অপর ৫টি মামলা বোদা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।

কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং যাচাই–বাছাইয়ের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।'

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাগাতার অভিযান ও নজরদারিতে জেলা শহরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হলেও জেলা শহরের উপকণ্ঠে ওই সম্প্রদায়ের মানুষের নিবাস আহমদনগর, ফুলতলা ও শালশিড়ি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

উল্লখ্য, গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ের আহম্মদ নগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) ৩ দিনব্যাপী সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা। জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমাবেত হন। এ সময় মিছিলে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও ৪টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

একদল বিক্ষোভকারী আহমদনগর এলাকায় গিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় দুই শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এই পাল্টাপাল্টি হামলা চলে।

এ ঘটনায় ২ তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন।

পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের 'সালানা জলসা' বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
army denies hiding bodies after jet crash

‘Army intervened in Gopalganj to save lives, not in support of any party’

Brig Gen Nazim-ud-Daula, director of Military Operations Directorate at the Army Headquarters, says

32m ago