টেকনাফে ৯ জনকে অপহরণ, ২ শিশু ফিরেছে, এখনও জিম্মি ৭

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে দুর্বৃত্তরা ৯ জনকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্য থেকে ২ শিশু কৌশলে পালিয়ে আসতে পারলেও এখনও তাদের হাতে জিম্মি আছেন ৭ জন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের এক কিশোর (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নাল (৪৫) এবং ১১ ও ১২ বছরের ২টি শিশু।

অপহরণের ঘণ্টাখানেক পরে ২ শিশু কৌশলে পালিয়ে আসে। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দলবেঁধে পাহাড়ের ভেতরে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। দুপুরের দিকে পাহাড়ের ভেতরে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় ৯ জনকে অপহরণ করে পাহাড়ের আরও ভেতরে নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। ৯ জনের মধ্যে ২ শিশু পালিয়ে আসে কৌশলে। পরে অপহৃতদের পরিবার পুলিশকে জানায় বিষয়টি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাহাড়ের ভেতরে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পুলিশের সঙ্গে থেকে অভিযানে সহযোগিতা করছে।'

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন,'ঘটনায় কারা জড়িত পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। অপহৃতদের উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।'

এর আগে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড়ে ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। সবশেষ গত ৩ মার্চ ২ শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago