অপরাধ ও বিচার

নিখোঁজের ২ দিন পর রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার

ওসি বলেন, ‘মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
ছবি: সংগৃহীত

নিখোঁজের ২ দিন পর পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকালে একটি গাড়ির ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যা করে মরদেহ গাড়ির ভেতরে করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুন নামে ১ জনকে আটক করেছে।

মৃত মো. সম্রাট হোসেন (২৯) পাবনার ঈশ্বরদীর উপজেলার আলহাজ ক্যাম্প এলাকার আবু বক্কারের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিমতের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নিজেও প্রকল্প এলাকায় গাড়ির ব্যবসা করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সকালে শিলাদহ ঘাট এলাকায় নির্জন স্থানে একটি প্রাডা গাড়ি পড়ে থাকতে দেখেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সম্রাটের মরদেহ গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি বলেন, 'মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।'

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের বন্ধু মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে বাশেরবাদা এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সম্রাটের শেষ অবস্থান মমিনের বাড়িতেই ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। 

ওসি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।'

Comments