সুলতানাকে র‍্যাবের কারা গ্রেপ্তার-জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, জানতে চান হাইকোর্ট

সুলতানা জেসমিন
সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁর সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত র‌্যাব সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আবুল কালাম খান দাউদকে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

নওগাঁর একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) গত ২২ মার্চ র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। 

মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। 

জেসমিনকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না, এবং র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদকে তা জানাতে বলেন আদালত।

তিনি আদালতকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং ময়নাতদন্ত শেষে সুলতানা জেসমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেসমিনের মৃত্যুর বিষয়ে সব তথ্য আদালতের কাছে আগামীকাল উপস্থাপনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সুলতানাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে র‌্যাব। তিনি পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানানো হয়।

তিনি বলেন, 'সুলতানা অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে দ্রুত নিউরোলজি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হতে থাকায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যান করে তার মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া যায়। খুব দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হয়ে যায়।'

সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান তিনি।

নওগাঁর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'সুলতানা এক বছর ধরে আমার অধীনে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ শুনিনি।'
 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

8h ago