ছেলের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগে বাবাকে ইউপি কার্যালয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

ছেলের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগে বাবাকে ইউপি কার্যালয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
বাবাকে ইউপি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ছবি: স্টার

ছেলে ছাগল চুরি করেছে এমন অভিযোগে এনে বাবাকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

নরসিংদী মনোহরদী থানার চরাঞ্চল খিদিরপুর ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটেছে।

পরিবারের অভিযোগ, ভুক্তভোগী ওই বাবাকে খিদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ১০ থেকে ১৫ লোকজন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন। ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তাকে সারাদিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী বাবা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আটক ছিলেন।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী বলেন, 'আমার ছেলে নাকি ছাগল চুরি করেছে, এমন মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে বাসায় না পেয়ে সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে এসে তার কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান ১ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়া হলে তারা আমার স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার ছেলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিচার করা হোক। কিন্তু আমার নিরপরাধ স্বামীকে এভাবে ধরে এনে মারপিট করায় আমি এই চেয়ারম্যানের বিচার চাই।'

খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, 'যাকের আটকে রাখা হয়েছে তার ছেলে এলাকা থেকে প্রায় ১০০ গরু-ছাগল চুরি করেছেন। ছাগল চুরির এক সহযোগীকেও আমরা আটক করেছি। আটক সেই ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে এখন আমার কার্যালয়ে রয়েছে।'

সকালে আটক করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৫টার দিকে বাবাকে আমার লোকজন ধরে এনেছেন।'

বাবাকে আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, 'ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় বাবাকে আটক করা হয়েছে। তবে, তাকে মারধর করা হয়নি এবং টাকাও দাবি করা হয়নি। পরিবারের এসব দাবি ভিত্তিহীন।'

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে সন্ধ্যায় কল করে জানিয়েছেন যে, কটিয়াদি গ্রাম থেকে ছাগল চুরির অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় আমরা এখনই ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। আর ছেলেকে না পেয়ে পিতাকে আটক করার কথা জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Vehicle sales decline Bangladesh

Vehicle sales plunged in 2024

This marked the steepest decline since the Covid-19 pandemic, when roughly 3.8 lakh vehicles were registered with the BRTA

12h ago