যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে

মাহবুবুল আলম | ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসমত আলীর বিরুদ্ধে।

নিহত মাহবুবুল আলমের (৩৩) স্বজনের অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের কালীবাড়ি বাজার এলাকায় থেকে মাহবুবুলকে তুলে নিয়ে যায় হাসমত আলী ও তার সহযোগীরা। হাসমত আলীর বাড়ির একটি কক্ষে মাহবুবুলকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়, বলেন তারা।

মাহবুবুল আলমের বাড়ি উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের সিংড়াটি এলাকায়। তার বাবার নাম আবু হানিফা। মাহবুবুল ওই ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম।

স্বজনের আরও অভিযোগ, হাসমত মাহবুবুলের খালাতো বোনের স্বামী হলেও তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।

একই তথ্য জানিয়েছেন মাহবুবুলের বড় ভাই হাবিবুর রহমান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসমত আলী আমাদের আত্মীয় হলেও সে সরকারি দল করে, আর আমার ভাই বিএনপি করতো।'

জমি নিয়ে বিরোধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার ভাই এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ১২ শতাংশ জমি কিনেছিল। হাসমত আলী দাবি করেন, তিনি ওই জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক। জমির ভুয়া দলিলও বানিয়েছে হাসমত। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও বসেছে কিন্তু সমাধান হয়নি। এক পর্যায়ে হাসমত জমির পরিবর্তে টাকা দাবি করে। আমার ভাই টাকা দিতে অসম্মতি জানায়। এই নিয়ে তারা আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়।'

হাবিবুর রহমান আরও দাবি করেন, 'তুলে নিয়ে যাওয়ার পর হাসমতের বাড়িতেই তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।'

হাসমত আলী দুপ্তারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আড়াইহাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা আত্মীয় এবং জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই।'

দুপুরে হাসমত আলীর ভাই কিসমত ও কামালকে আটক করে পুলিশ। হাসমত আলী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে মাহবুবুলকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিহতের স্বজন।'

'ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

3h ago