নারায়ণগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৬ মামলার আসামি নিহত

আফজালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মাদক, মারামারিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা আছে।
আফজাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রতিপক্ষের হামলায় আফজাল হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ১৬টি মামলার আসামি ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কাশীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগের হাশেমবাগ এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু। নিহত আফজাল হোসেন পশ্চিম দেওভোগের প্রধান বাড়ির এবায়দুলের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আফজালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মাদক, মারামারিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা আছে। একাধিকবার তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম দেওভোগের বাঁশমুলি এলাকায় 'রাজু বাহিনী' ও 'সাল্লু বাহিনী' নামে ২টি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। রাজু বাহিনীর সঙ্গে আফজালের সখ্যতা থাকলেও সম্প্রতি বিরোধ তৈরি হয়। কয়েক মাস আগে আফজাল ও তার সহযোগীরা মিলে রাজু প্রধানের সহযোগী রাসেলের ভাই রাশেদকে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার হয় আফজাল।

আফজালের ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য রাজু প্রধানকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকজন এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময়ই আমার ভাই আফজালের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় রাজুর। ওই বিরোধের জেরেই আমার ভাইকে রাজু, রাসেল ও রাশেদরা মিলে খুন করছে।'

ওসি রিজাউল হক বলেন, 'নিহতের সঙ্গে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরোধ ছিল। কয়েক মাস আগে আফজাল রাশেদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারও হয় আফজাল। সম্প্রতি তিনি জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে রাস্তায় পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।'

প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি বলেন, 'রাশেদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে রাশেদ ও তার ভাই রাসেলসহ কয়েকজন মিলে আফজালকে কুপিয়ে হত্যা করে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।'

Comments