৫০টি স্বর্ণের চেইন ও ৫টি বারসহ সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়িচালক আটক

চেইন এবং ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩.৯০ গ্রাম। সব মিলিয়ে ৮২৩.৫২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা। 
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়ি চালক সালেহকুজ্জামানকে ৫টি সোনারবার ও ৫০টি স্বর্ণের চেইনসহ আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। 

আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। 

তিনি জানান, ড্রাইভার সালেকুজ্জামান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১ নাম্বার গেট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণের চেইনগুলো সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তার আচরণ এবং গতিবিধি দেখে এপিবিএন গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়। গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। 

জিয়াউল হক আরও জানান, এপিবিএনের অফিসে এনে ক্যাবের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরে তিনি সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। এরপর তার শরীর তল্লাশী করলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলো বের করে দেন। সোনার বারগুলো কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিল এবং চেইনগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিল। ৫টি সোনার বার (৯৯.৯৬ গ্রাম করে প্রতিটি বার) পাওয়া গেছে। বারগুলোর ওজন ৪৯৯.৬২ গ্রাম, চেইন এবং ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩.৯০ গ্রাম। সব মিলিয়ে ৮২৩.৫২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা। 

জিয়াউল হক বলেন, 'আমরা জানি যে, ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র বিমানবন্দর ব্যবহার করে চোরাচালানে সক্রিয় হয়েছে। এই ধরনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গত ১২ এপ্রিল থেকে চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে অভিযানের তৃতীয় দিনে এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। গত ১২ এপ্রিল অভিযান শুরুর প্রথম দিনেও প্রায় ১ কেজি স্বর্ণ, ১০৭টি মোবাইল, বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও শুল্কযোগ্য কসমেটিকস উদ্ধার করে এপিবিএন।

জিয়াউল হক আরও জানান, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বার এবং চেইনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

Comments