ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহত ফয়সালের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

নিহত ফয়সাল (২২) উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের রাকিব মিয়ার ছেলে। তিনি কালিকচ্ছ বাজারে ব্যবসা করতেন।

নিহতের মামা ওসমান হারুনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে কালিকচ্ছ বাজারে ধরন্তি ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে এসে গুলি ছুড়ে। এসময় ফয়সাল গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপুর ১২টার দিকে ধরন্তি গ্রামের চৌকিদার ইকবাল মিয়া ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের লোকজন কালিকচ্ছ বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সরাইল থানা থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে। 

সংঘর্ষে বিজয় টেলিভিশনের সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি মো. মাসুদ মিয়াসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের পর কালিকচ্ছ বাজার থেকে পুলিশ ১০টি অব্যবহৃত ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া, সেখান থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।'

ফয়সালের পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের ছোড়া ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে।'

ফয়সালের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

Comments