‘জুয়া ও মাদকের ভিডিও প্রকাশের জেরে’ আ. লীগ নেতাকে হত্যা

এলাকার এক জামায়াত নেতার জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের।
কুমিল্লা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচর গ্রামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

এলাকার এক জামায়াত নেতার জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের।

আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

নিহত এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। একইসঙ্গে তিনি আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সচিব।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য, বিভিন্ন কারণে এনামুলের সঙ্গে স্থানীয় 'জামায়াত নেতা' কাজী জহিরের আগে থেকেই বিরোধ ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য জহির এনামুলকে দায়ী করেন।

এর জের ধরে আজ মসজিদ থেকে ফেরার পথে এনামুলের পথ রোধ করে জহির ও তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম, সাইদ ও মাজহারুলসহ কয়েকজন তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।

মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে এনামুলকে প্রথমে কুমিল্লা সদর উপজেলা হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেল বলেন, 'এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহিরের আলেখাচর মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সচিব ছিল এনামুল। জহিররা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছিল।'

পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এই ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

Comments