ফারদিনের মৃত্যু: সিআইডিকে ২১ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার আদেশ

গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২১ জুনের মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আবারও দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

আজ পর্যন্ত সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ১৬ এপ্রিল একই আদালতে ফারদিনের বাবার করা মামলার আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নিয়ে ডিবির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ফারদিনের বাবা অনাস্থা আবেদন করলে বিচারক আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সঠিকভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ এনে অধিকতর তদন্ত চেয়েছেন।

তিনি আইওর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলে অভিযুক্তদের দ্বারা পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন।

গত ৮ জানুয়ারি জামিন পাওয়া বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে আইও বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ফারদিন আত্মহত্যা করেন।

'ভিডিও ফুটেজ, তদন্ত, ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা রিপোর্ট এবং ঘটনার স্থান এবং অন্যান্য স্থান থেকে সংগ্রহ করা অন্যান্য তথ্য প্রমাণ যাচাই করে দেখেছি যে ফারদিন আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। তাই এই মৃত্যুর সঙ্গে বুশরা এবং মামলায় নাম থাকা অন্যরা জড়িত ছিল না,' তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন ইয়াসিন।

তবে ফারদিনের বাবা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, তার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না।

ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালিয়ে ডিবি ও র‌্যাব ১১ ডিসেম্বর জানায়, ফারদিন সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরদিন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তারা এ ঘটনায় বুশরার সম্পৃক্ততা পাননি।

 

Comments