সাজা শেষের ৭ বছর পরও কারাগারে: আলাউদ্দিন বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা শেষে ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা আলাউদ্দিন গাজীর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাউদ্দিন অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করছেন কি না, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে তা ৬ জুনের মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কারা কর্তৃপক্ষকে হাজির করার আদেশ চেয়ে করা আবেদনের শুনানিকালে এ আদেশ দেন।

বেঞ্চ আরও বলেন, বেআইনিভাবে আলাউদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখলে তারা তাকে মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেবেন এবং সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২৯ মে হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিট আবেদনে আলাউদ্দিনকে আদালতে হাজির কর আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। সেই সঙ্গে আলাউদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির জন্য হাইকোর্টকে অনুরোধ করেন।

পিটিশনকারী আইনজীবী বিভূতি তরফদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, আলাউদ্দিন এখন বরিশাল কারাগারে আছেন। জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সেলিম মিয়া ঢালী নামের একজনের হত্যা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি ২৬ আসামির মধ্যে আলাউদ্দিনসহ ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে আলাউদ্দিন ছাড়া বাকি সব আসামি কারাগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু, আর্থিক সংকটের কারণে আলাউদ্দিন রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কোনো আপিল করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

আইনজীবী বিভূতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড। রেয়াত সুবিধা সাড়ে ৭ বছর কারাবাস মওকুফ হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজায় সাড়ে ২২ বছর কারাবাস করতে হয়।

আলাউদ্দিনের মামলায়, ৭ বছরেরও বেশি সময় আগে তার কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আলাউদ্দিনকে এই দীর্ঘ সময় অবৈধভাবে কারাগারে রেখেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt cuts interest rates on savings tools

Finance ministry lowers rates on four key savings instruments

2h ago